Header Ads

Header ADS

SSC Chemistry Chapter 6: মোলের ধারণা ও রাসায়নিক গণনা (অনুধাবনমূলক প্রশ্ন-উত্তর)

অধ্যায়-৬:মোলের ধারণা ও রাসায়নিক গণনা (অনুধাবনমূলক প্রশ্ন-উত্তর) 

১। প্রশ্নঃ  মোল বলতে কী বুঝায়? উদাহরণসহ ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ কোনো পদার্থের যে পরিমাণের মধ্যে 6.023× 10^23 টি পরমাণু, অণু বা আয়ন থাকে সেই পরিমাণকে ঐ পদার্থের মোল বলে।

অথবা, কোনো পদার্থের পারমাণবিক ভর (পরমাণুর ক্ষেত্রে) অথবা আণবিক ভরকে (অণুর ক্ষেত্রে) গ্রাম এককে প্রকাশ করলে যে পরিমাণ পাওয়া যায় তাকে ঐ পদার্থের এক মোল বলে।

মোলকে অণুর ক্ষেত্রে গ্রাম আণবিক আণবিক ভর এবং পরমাণুর ক্ষেত্রে গ্রাম পারমাণবিক ভর বলে।   যেমন,  C এর পারমাণবিক ভর 12

অতএব 1 মোল পরমাণু C বা কার্বনের গ্রাম পারমাণবিক ভর = 12 গ্রাম C

                                                                                                     = 6.023× 1023 টি C পরমাণু  

হাইড্রোজেনের পারপমাণবিক ভর 1

অতএব 1 মোল পরমাণু H বা H এর গ্রাম পারমাণবিক ভর = 1 গ্রাম H

                                                                                                     = 6.023× 10^23 টি H পরমাণু  

আবার,হাইড্রোজেনের আণবিক ভর 2

অতএব 1 মোল H2 = 12g H2 = 6.023× 10^23 টি H2 অণু 

আবার মিথেনের আণবিক ভর 16

অতএব, 1 মোল CH4 = 16 g CH4 = 6.023× 10^23 টি মিথেন অণু 

২। প্রশ্নঃ 1টি পানির অণুর ভর কত?

৩। প্রশ্নঃ 1টি কার্বন ডাই-অক্সাইড অণুর ভর কত?

৪। প্রশ্নঃ  কার্বন ডাই-অক্সাইডের মোলার আয়তন ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ কোনো  গ্যাসীয় পদার্থের 1 মোল যে আয়তন দখল করে তাকে ঐ গ্যাসের মোলার আয়তন বলে। কার্বন ডাই-অক্সাইডের 1 মোল বা 44 গ্রাম প্রমাণ অবস্থায় (00 C তাপমাত্রা ও 1 atm চাপে) 22.4 লিটার আয়তন দখল করে। অর্থাৎ প্রমাণ অবস্থায় কার্বন ডাই-অক্সাইড তথা যে কোন গ্যাসের মোলার আয়তন 22.4 লিটার ।   

৫। প্রশ্নঃ CO2আণবিক সংকেতের তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।

   অথবাঃ CO2আণবিক সংকেত দ্বারা কী বুঝায়? ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ CO2 আণবিক সংকেতের তাৎপর্য নিম্নরূপঃ

১. CO2 এর নাম কার্বন ডাই-অক্সাইড।

২. 1 অণু কার্বন ডাই-অক্সাইডের সংকেত CO2

৩. 1 মোল কার্বন ডাই-অক্সাইডের সংকেত CO2

৪. 1 অণু CO21টি কার্বন পরমাণু এবং 2টি অক্সিজেন পরমাণু আছে।

৫. 1 মোল CO2 1 মোল কার্বন পরমাণু এবং 2 মোল অক্সিজেন পরমাণু আছে।

৬. 1 মোল COএ কার্বন পরমাণু ভর 12×1= 12g  এবং অক্সিজেন পরমাণু ভর 16×2= 32g ।      

     অতএব, 1 মোল CO2 এর ভর = (12+ 32)g = 44 g

৭. 1 মোল COএ কার্বন পরমাণু সংখ্যা 6.023× 10^23 × 1= 6.023× 10^23 টি, অক্সিজেন পরমাণু সংখ্যা        6.023× 10^23× 2 = 1.2× 10^24  টি এবং COঅণুর সংখ্যা 6.023× 10^23 টি ।  

৬। প্রশ্নঃ  মোলার দ্রবণ বলতে কী বুঝায়? উদাহরণসহ ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় 1 লিটার দ্রবণে 1 মোল দ্রব দ্রবিভূত থাকলে তাকে মোলার দ্রবণ বলে।

যেমন- NaCl এর 1 মোল = (23+35.5) g or 58.5 g

অতএব, পানিতে 58.5 g NaCl দ্রবিভূত করে 1 লিটার দ্রবণ তৈরি করলে ঐ দ্রবণ হবে NaCl এর 1 M বা মোলার দ্রবণ। 

৭। প্রশ্নঃ  ডেসিমোলার দ্রবণ বলতে কী বুঝায়? উদাহরণসহ ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় 1 লিটার দ্রবণে ডেসিমোল বা 0.1 মোল দ্রব দ্রবিভূত থাকলে তাকে ডেসিমোলার দ্রবণ বলে। যেমন- NaOH এর 1 মোল = (23+16+1)g or 40g  এবং 0.1 মোল  = 0.4 g

অতএব, 0.4 g NaOH পানিতে দ্রবিভূত করে 1 লিটার দ্রবণ তৈরি করলে ঐ দ্রবণ হবে NaOH এর 0.1 M বা ডেসিমোলার দ্রবণ।  

৮। প্রশ্নঃ  মোলার দ্রবণ একটি প্রমাণ দ্রবণ- ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ আমরা জানি, নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় 1 লিটার দ্রবণে 1 মোল দ্রব দ্রবিভূত থাকলে ঐ দ্রবণ হলো মোলার দ্রবণ। আবার, যে দ্রবণের ঘনমাত্রা সঠিকভাবে জানা থাকে তাকে প্রমাণ দ্রবণ বলে। যেমন-NaOH এর 1 মোল হলো 40 g । যদি 1 লিটার দ্রবণে 1 মোল বা 40 g NaOH দ্রবিভূত থাকে তবে এই দ্রবণ হলো NaOH এর মোলার দ্রবণ। যেহেতু মোলার দ্রবণে নির্দিষ্ট আয়তনের মধ্যে নির্দিষ্ট পরিমাণ দ্রব দ্রবিভূত থাকে অর্থাৎ দ্রবণটির ঘনমাত্রা সঠিকভাবে জানা থাকে। সুতরাং মোলার দ্রবণ একটি প্রমাণ দ্রবণ।

৯। প্রশ্নঃ  দ্রবণের মোলারিটির উপর তাপমাত্রার প্রভাব ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ নিদিষ্ট তাপমাত্রায় প্রতি লিটার দ্রবণে উপস্থিত দ্রবের মোল সংখ্যাকে মোলারিটি বলে। মোলারিটির সংজ্ঞানুসারে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, মোলারিটি আয়তনের সাথে সম্পর্কিত। আবার আয়তন তাপমাত্রা দ্বারা প্রভাবিত হয়, অর্থাৎ তাপমাত্রার পরিবর্তন হলে দ্রবণের আয়তন বাড়ে বা কমে। ফলে দ্রবণের আয়তনের হ্রাস বা বৃদ্ধি ঘটলে দ্রবণের মোলারিটিও পরিবর্তন হয়। সুতরাং তাপমাত্রার পরিবর্তনের সাথে দ্রবণের মোলারিটি পরিবর্তন হয়।   

১০। প্রশ্নঃ  Zn (NO3)2 এর শতকরা সংযুতি নির্ণয় কর।

১১। প্রশ্নঃ  স্থূল সংকেত ও আণবিক সংকেত বলতে কী বুঝায়? ব্যাখ্যা কর।  

উত্তরঃ  কোনো পদার্থের অণুতে বিদ্যমান বিভিন্ন মৌল ও পরমাণুসমূহের প্রকৃত সংখ্যা যে সংকেত দ্বারা প্রকাশ করা হয় তাকে আণবিক সংকেত বলে। যেমন, সালফিউরিক এসিড হাইড্রোজেন, সালফার ও অক্সিজেন মৌল দ্বারা গঠিত এবং এদের পরমাণুর সংখ্যা যথাক্রমে 2, 14 । তাই সালফিউরিক এসিডের আণবিক সংকেত H2SO4 ।                                                                                          

যে সংকেত দ্বারা কোনো যৌগের অণুতে বিদ্যমান বিভিন্ন মৌলের পরমাণুর সংখ্যার সরল অনুপাত জানা যায়, কিন্তু পরমাণুসমূহের সঠিক সংখ্যা জানা যায় না তাকে ঐ যৌগের স্থূল সংকেত বলে। যেমন, বেনজিনের স্থূল সংকেত CH । এ সংকেত থেকে বুঝা যায় বেনজিন কার্বন ও হাইড্রোজেন মৌল দ্বারা গঠিত এবং এদের অনুপাত 1: 1 , কিন্তু কার্বন ও হাইড্রোজেন পরমাণুসমূহের প্রকৃত সংখ্যা জানা যায় না।       

১২। প্রশ্নঃ  “ একই স্থূল সংকেত বিভিন্ন যৌগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য”- ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ যে সংকেত দ্বারা কোনো যৌগের অণুতে বিদ্যমান বিভিন্ন মৌলের পরমাণুসমূহের সরল অনুপাত জানা যায়, কিন্তু পরমাণুসমূহের সঠিক সংখ্যা জানা যায় না তাকে ঐ যৌগের স্থূল সংকেত বলে। যেমন, বেনজিন ও ইথাইনের স্থূল সংকেত CH । কিন্তু বেনজিনের আণবিক সংকেত C6H6 এবং ইথাইনের আণবিক সংকেত C2H2 । উভয়েই কার্বন ও হাইড্রোজেন পরমাণুর অনুপাত 1: 1 এবং এ কারণেই বেনজিন ও ইথাইনের স্থূল সংকেত CH । সুতরাং দেখা যায় যে, একই স্থূল সংকেত বিভিন্ন যৌগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।


১৩। প্রশ্নঃ  স্থূল সংকেত ও আণবিক সংকেতের মধ্যে পার্থক্য লিখ।

উত্তরঃ স্থূল সংকেত ও আণবিক সংকেতের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপঃ

           স্থূল সংকেত

       আণবিক সংকেত

১।স্থূল সংকেত যৌগের অণুতে বিদ্যমান বিভিন্ন মৌলের পরমাণুর সংখ্যার অনুপাত প্রকাশ করে।

১।আণবিক সংকেত যৌগের অণুতে বিদ্যমান বিভিন্ন মৌলের পরমাণুসমূহের প্রকৃত সংখ্যা প্রকাশ করে।

২।একই স্থূল সংকেত একাধিক যৌগের হতে পারে।

২।সমাণুতা ছাড়া একটি আণবিক সংকেত একটি যৌগেরই হয়।

৩।স্থূল সংকেত শুধুমাত্র যৌগের হয়।

৩।আণবিক সংকেত মৌল ও যৌগ উভয়েরই হতে পারে।

১৪। প্রশ্নঃ  সাদা বর্ণের বিশুদ্ধ কপার সালফেট বাতাসে রেখে দিলে নীল বর্ণ ধারণ করে কেন? ব্যাখ্যা কর। 

উত্তরঃ সাদা বর্ণের বিশুদ্ধ কপার সালফেট বাতাসে রেখে দিলে নীল বর্ণ ধারণ করে। কারণ বিশুদ্ধ কপার সালফেটকে বাতাসে উন্মুক্ত রেখে দিলে উহা বাতাসের জলীয় বাষ্প শোষণ করে স্ফটিকাকার  পেন্টাহাইড্রেটেড কপার সালফেট উৎপন্ন করে, যা নীল বর্ণের হয়। একে ব্লুভিট্রিয়লও বলে। 



কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.