Header Ads

Header ADS

SSC Physics Chapter 8: আলোর প্রতিফলন (অনুধাবনমূলক প্রশ্ন-উত্তর)

         অধ্যায়-৮: আলোর প্রতিফলন (অনুধাবনমূলক প্রশ্ন-উত্তর)

১। প্রঃ আলোর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো লেখ।

উত্তরঃ আলোর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নরূপঃ

(i) আলো এক প্রকার শক্তি।

(ii) আলো এক ধরণের তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গ।

(iii) আলো কখনো তরঙ্গের ন্যায় এবং কখনো আবার কণার ন্যায় আচরণ করে। 

(iv) কোনো স্বচ্ছ সমসত্ব মাধ্যমে আলো সরল পথে চলে।

(v) কোনো নির্দিষ্ট মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট বেগে চলে।শূন্য মাধ্যমে আলোর বেগ 3×10^8 ms^-1

(vi) আলোর প্রতিফলন, প্রতিসরণ, ব্যতিচার, অপবর্তন, সমবর্তন এবং বিচ্ছুরণ ঘটে।  

২। প্রঃ অবতল দর্পণকে অভিসারী দর্পণ বলা হয় কেন?

উত্তরঃ আলোর নিয়মিত প্রতিফলন যদি গোলীয় দর্পণের অবতল পৃষ্ঠ হতে সংঘটিত হয় তবে সে দর্পণকে অবতল দর্পণ বলে।একগুচ্ছ সমান্তরাল আলোক রশ্মি অবতল দর্পণে আপতিত হওয়ার পর প্রতিফলিত হয়ে প্রতিফলিত রশ্মিগুচ্ছ একটি বিন্দুতে অভিসারীত হয় বা একত্রে মিলিত হয়।এ জন্য অবতল দর্পণ একটি অভিসারী দর্পণ।

৩। প্রঃ উত্তল দর্পণকে অপসারী দর্পণ বলা হয় কেন?

উত্তরঃ আলোর নিয়মিত প্রতিফলন যদি গোলীয় দর্পণের উত্তল পৃষ্ঠ হতে সংঘটিত হয়,তবে সে দর্পণকে উত্তল দর্পণ বলে।একগুচ্ছ সমান্তরাল আলোক রশ্মি উত্তল দর্পণে আপতিত হয়ে প্রতিফলিত হবার পর অপসারী রশ্মিগুচ্ছে পরিণত হয়, অর্থাৎ ছড়িয়ে পড়ে এবং কখনই একটি বিন্দুতে মিলিত হয় না।এ জন্য উত্তল দর্পণকে অপসারী দর্পণ বলে।

৪। প্রঃ  দর্পণে বা সমতল দর্পণে লম্বভাবে আপতিত রশ্মি একই পথে ফিরে আসে কেন?

উত্তরঃ প্রতিফলনের নিয়ম অনুসারে আমরা জানি, আপতিত রশ্মি, প্রতিফলিত রশ্মি এবং আপতন বিন্দুতে প্রতিফলকের উপর অংকিত অভিলম্ব একই সমতলে অবস্থান করে।এখন দর্পণে বা সমতল দর্পোণে কোনো আলোক রশ্মি লম্বভাবে আপতিত হলে আপতিত রশ্মি অভিলম্ব বরাবর এসে একই বিন্দুতে মিলিত হয়, অর্থাৎ আপতন কোণ শূন্য হয়।যেহেতু আপতন কোণ শূন্য এবং সে কারণে প্রতিফলন কোণও শূন্য হয়।আর প্রতিফলন কোণ শূন্য হওয়ায় প্রতিফলিত রশ্মিও অভিলম্বের সাথে মিলে যায় অর্থাৎ অভিলম্ব বরাবর গমন করে।এ জন্য দর্পণে বা সমতল দর্পণে লম্বভাবে আপতিত রশ্মি একই পথে ফিরে আসে।   

৫। প্রঃ দর্পণ ও লেন্সের মধ্যে পার্থক্য লেখ।

উত্তরঃ দর্পণ ও লেন্সের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপঃ

             দর্পণ

            লেন্স

যে মসৃণ তলে আলোর নিয়মিত প্রতিফলন ঘটে তাকে দর্পণ বলে।

দুইটি গলোকের পৃষ্ঠ দ্বারা সীমাবদ্ধ কোনো স্বচ্ছ প্রতিসারক মাধ্যমকে লেন্স বলে। 

দর্পণ তৈরি করতে এর উপর ধাতুর প্রলেপ বা সিলভারিং করা হয়।

লেন্সে কোনো ধরণের প্রলেপ বা সিলভারিং করার প্রয়োজন হয় না ।

 ৬। প্রঃ সমতল দর্পণে সৃষ্ট বিম্বের বৈশিষ্টগুলো লিখ।  

উত্তরঃ সমতল দর্পণে সৃষ্ট বিম্বের বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপঃ

(i) সমতল দর্পণ থেকে বস্তুর দূরত্ব যত, দর্পণ থেকে বিম্বের দূরত্বও তত।

(ii) প্রতিবিম্বের আকার লক্ষবস্তুর আকারের সমান।

(iii) প্রতিবিম্ব অবাস্তব ও সোজা।

(iv) বিম্বের পার্শ্ব পরিবর্তন ঘটে।       

৭। প্রঃ সিলভারিং বলতে কী বুঝায়?

উত্তরঃ সাধারণত কাচের এক পৃষ্ঠে ধাতুর প্রলেপ লাগিয়ে দর্পণ তৈরি করা হয়।কাচের উপর পারদ বা রুপার প্রলেপ লাগানোর এই প্রক্রিয়াকে ‘পারা লাগানো’ বা ‘সিলভারিং’ বলা হয়।ধাতুর প্রলেপ লাগানো পৃষ্ঠের বিপরীত পৃষ্ঠটি এক্ষেত্রে প্রতিফলক পৃষ্ঠ হিসেবে কাজ করে।অবতল দর্পণ তৈরির ক্ষেত্রে গোলকের কেটে নেয়া অংশের উত্তল পৃষ্ঠে সিলভারিং করা হয় এবং উত্তল দর্পণ তৈরির ক্ষেত্রে অবতল পৃষ্ঠে সিলভারিং করা হয়।

৮। প্রঃ বাস্তব ও অবাস্তব বিম্বের মধ্যে পার্থক্য লেখ।

উত্তরঃ বাস্তব ও অবাস্তব বিম্বের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপঃ

         বাস্তব বা সদ বিম্ব

       অবাস্তব বা অসদ বিম্ব

১। কোনো বিন্দু থেকে নিঃসৃত রশ্মিগুচ্ছ প্রতিফলন বা প্রতিসরণের পর দ্বিতীয় কোনো বিন্দুতে মিলিত হলে বাস্তব বিম্ব গঠিত হয়।

১। কোনো বিন্দু থেকে নিঃসৃত রশ্মিগুচ্ছ প্রতিফলন বা প্রতিসরণের পর দ্বিতীয় কোনো বিন্দু থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হলে দ্বিতীয় বিন্দুতে অবাস্তব বিম্ব গঠিত হয়।

২। প্রতিফলিত বা প্রতিসরিত রশ্মির প্রকৃত মিলন হয়।

২।প্রতিফলিত বা প্রতিসরিত রশ্মির প্রকৃত মিলন হয় না।

৩। এ বিম্ব চোখে দেখা যায় এবং পর্দায়ও ফেলা যায়।

৩। এ বিম্ব চোখে দেখা যায় কিন্তু পর্দায় ফেলা যায় না।

৯। প্রঃ সমতল দর্পণে সর্বদা বিবর্ধনের মান 1 হয়- ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ আমরা জানি, প্রতিবিম্বের দৈর্ঘ্য ও বস্তুর দৈর্ঘ্যের অনুপাতকে রৈখিক বিবর্ধন বা সংক্ষেপে বিবর্ধন বলে।সমতল দর্পণে সর্বদা সোজা ও অবাস্তব বিম্ব গঠিত হয় এবং বিম্বের দৈর্ঘ্য লক্ষবস্তুর দৈর্ঘ্যের সমান।যেহেতু বিম্বের দৈর্ঘ্য ও লক্ষবস্তুর দৈর্ঘ্য সমান। সুতরাং এদের অনুপাত 1 হবে।এই কারণে সমতল দর্পণে সর্বদা বিবর্ধন 1 হয়। 

১০। প্রঃ পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনে আপতন কোণ ক্রান্তি কোণের চেয়ে বড় হয় কেন?/২৪৭

উত্তরঃ আলোক রশ্মি যখন ঘন মাধ্যম থেকে হালকা মাধ্যমে প্রতিসৃত হয়, তখন আপতন কোণের যে মানের জন্য প্রতিসরণ কোণ 90^0 হয় বা প্রতিসরিত রশ্মি দুই মাধ্যমের বিভেদতল ঘেঁষে যায় তাকে ক্রান্তি কোণ বলে।এখন আলোক রশ্মি ক্রান্তি কোণের সমান কোণে আপতিত হলে প্রতিফলিত রশ্মি বিভেদতল ঘেঁষে চলে যায়।কিন্তু আপতন কোণের মান আরো বৃদ্ধি করলে অর্থাৎ আপতন কোণ ক্রান্তি কোণের চেয়ে বড় হলে সেক্ষেত্রে আলোক রশ্মি বিভেদতলে বাধা পেয়ে প্রথম মাধ্যমে ফিরে আসে।একে পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন বলে।এ জন্য পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের ক্ষেত্রে আপতন কোণ ক্রান্তি কোণের চেয়ে বড় হয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.