SSC Physics Chapter 11: চল তড়িৎ (সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-উত্তর)
অধ্যায়-১১:চল তড়িৎ (সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-উত্তর)
তড়িৎ (Electricity) কী?
ইলেকট্রনের নিরবচ্ছিন্ন প্রবাহই হলো তড়িৎ।
তড়িৎ প্রবাহ (Electric Current) কাকে
বলে?
কোনো পরিবাহীর যে কোনো প্রস্থচ্ছেদের মধ্য দিয়ে
একক সময়ে যে পরিমাণ আধান বা চার্জ প্রবাহিত হয় তাকে তড়িৎ প্রবাহ বলে।
অ্যাম্পিয়ার (Ampere) কী?
অ্যাম্পিয়ার হলো তড়িৎ প্রবাহের একক। শূন্য
মাধ্যমে কোনো পরিবাহীর যে কোনো প্রস্থচ্ছেদের মধ্য দিয়ে 1s এ 1C আধান প্রবাহিত
হলে যে পরিমাণ তড়িৎ প্রবাহের সৃষ্টি হয় তা হলো এক অ্যাম্পিয়ার (1 A)।
গ্যালভানোমিটার (Galvanometer) কী?
গ্যালভানোমিটার হলো এমন একটি যন্ত্র যার কাঁটার
বিক্ষেপণ দেখে তড়িৎ প্রবাহের অস্তিত্ব নির্ণয় করা যায়।
অথবা, যে যন্ত্রের সাহায্যে তড়িৎ প্রবাহের
অস্তিত্ব নির্ণয় করা যায় সেই যন্ত্রই হলো গ্যালভানোমিটার।
পরিবাহী (Conductor) কাকে বলে?
যে সকল পদার্থের মধ্য দিয়ে খুব সহজেই তড়িৎ
প্রবাহ চলতে পারে তাদেরকে পরিবাহী বলে। যেমন-তামা, লোহা, রূপা ইত্যাদি সুপরিবাহী
পদার্থ।
অপরিবাহী (Insulator) কাকে
বলে?
যে সকল পদার্থের মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ চলতে
পারে না তাদেরকে অপরিবাহী বা অন্তরক পদার্থ বলে।
অথবা, যে সকল পদার্থের মধ্য দিয়ে ইলেকট্রন
চলাচল করতে পারে না তাদেরকে অপরিবাহী বা অন্তরক পদার্থ বলে। যেমন- প্লাষ্টিক,
রাবার, কাঠ, কাচ ইত্যাদি।
অর্ধপরিবাহী (Semiconductor) কাকে
বলে?
যে সকল পদার্থের তড়িৎ পরিবহন ক্ষমতা সাধারণ
তাপমাত্রায় পরিবাহী এবং অপরিবাহী পদার্থের মাঝামাঝি, সে সকল পাদার্থকে অর্ধপরিবাহী
বলে। যেমন-জার্মেনিয়াম, সিলিকন ইত্যাদি।
ও’মের সূত্রটি (Ohm’s law) বিবৃত কর।
তাপমাত্রা স্থির থাকলে কোনো পরিবাহীর মধ্য দিয়ে
যে তড়িৎ প্রাবাহ চলে তা ঐ পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্যের সমানুপাতিক।
তড়িচ্চালক শক্তি (Electromotive Force) বা EMF কাকে বলে?
কোনো তড়িৎ উৎস একক ধনাত্মক আধানকে বর্তনীর এক
বিন্দু থেকে উৎসসহ সম্পূর্ণ বর্তনী ঘুরিয়ে আবার ঐ বিন্দুতে আনতে যে পরিমাণ কাজ
সম্পন্ন করে, তথা উৎস যে তড়িৎশক্তি ব্যয় করে, তাকে ঐ উৎসের তাড়িচ্চালক শক্তি বা EMF বলে।
তড়িৎ বিভব (Electric Potential) কাকে বলে?
অসীম দূরত্ব থেকে প্রতি একক ধনাত্মক আধানকে
তড়িৎক্ষেত্রের কোনো বিন্দুতে আনতে যে পরিমাণ কাজ সম্পন্ন হয় তাকে ঐ বিন্দুর তড়িৎ
বিভব বলে।
বিভব পার্থক্য (Potential
Difference) কাকে বলে?
একক ধনাত্মক আধানকে বর্তনীর এক বিন্দু থেকে অপর
বিন্দুতে স্থানান্তর করতে যে পরিমাণ কাজ সম্পন্ন হয় তাকে ঐ দুই বিন্দুর বিভব
পার্থক্য বলে।
অথবা,বৈদ্যুতিক বর্তনীর দুই বিন্দুর মধ্য দিয়ে একক ধনাত্মক আধান স্থানান্তরিত হলে যে পরিমাণ তড়িৎশক্তি অন্য কোনো শক্তিতে
( যেমন- তাপ ও আলো) রূপান্তরিত হয়, তার পরিমাণই ঐ দুই বিন্দুর বিভব পার্থক্য।
পরিবাহীর রোধ (Resistance) কাকে বলে?
পরিবাহীর যে ধর্মের জন্য এর মধ্য দিয়ে তড়িৎ
প্রবাহ বিঘ্নিত হয় তাকে ঐ পরিবাহীর রোধ বলে।
রোধ সূত্রগুলো (Laws of Resistance) লিখ।
তাপমাত্রা স্থির থাকলে পরিবাহীর রোধকে দুইটি
সূত্রের সাহায্যে প্রকাশ করা যায়-
দৈর্ঘ্যের সূত্রঃ নির্দিষ্ট তাপমাত্রায়
নির্দিষ্ট উপাদানের প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল স্থির থাকলে পরিবাহী রোধ এর দৈর্ঘ্যের
সমানুপাতিক।
প্রস্থচ্ছেদের সূত্রঃ নির্দিষ্ট তাপমাত্রায়
নির্দিষ্ট উপাদানের দৈর্ঘ্য স্থির থাকলে পরিবাহী রোধ এর প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফলর
ব্যস্তানুপাতিক।
আপেক্ষিক রোধ (Resistivity) কাকে
বলে?
নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় একক দৈর্ঘ্য ও একক
প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফলবিশিষ্ট কোনো পরিবাহীর রোধকে ঐ তাপমাত্রায় এর উপাদানের
আপেক্ষিক রোধ বলে।
পরিবাহকত্ব (Conductance) কী?
আপেক্ষিক রোধের বিপরীত রাশি হলো
পরিবাহিকত্ব।
শ্রেণি বর্তনী (Series Combination) কাকে বলে?
যে বর্তনীতে তড়িৎ উপকরণলো পর পর সাজানো থাকে
তাকে শ্রেণি বর্তনী বলে।
অথবা, কোনো বর্তনীতে তড়িৎ উপকরণলোর প্রথম
উপকরণের শেষ প্রান্তের সাথে দ্বিতীয় উপকরণের প্রথম প্রান্ত, দ্বিতীয় উপকরণের
দ্বিতীয় প্রান্তের সাথে তৃতীয় উপকরণের প্রথম প্রান্ত এবং এরূপে বাকীগুলো সাজানো
থাকে, এরূপ সজ্জাকে বা সন্নিবেশকে শ্রেণি বর্তনী বলে।
সমান্তরাল বর্তনী (Parallel Combination) কাকে বলে?
যে বর্তনীতে তড়িৎ উপকরণলো এমনভাবে সাজানো থাকে
যে প্রত্যেকটির এক প্রান্ত একটি সাধারণ বিন্দুতে এবং অপর প্রান্তগুলো অন্য একটি
সাধারণ বিন্দুতে সংযুক্ত থাকে তবে তাকে সমান্তরাল বর্তনী বলে।
তুল্যরোধ কাকে (Equivalent Resistance) বলে?
রোধের কোনো সন্নিবেশের পরিবর্তে যে একটি মাত্র
রোধ ব্যবহার করলে বর্তনীর প্রবাহমাত্রা ও বিভব পার্থক্যের কোনো পরিবর্তন হয় না,
তাকে ঐ সন্নিবেশের তুল্যরোধ বলে।
সিস্টেম লস (System Loss) কী?
বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য ব্যবহৃত তারের রোধের কারণে তড়িৎ শক্তির যে অপচয় হয় তাই সিস্টেম লস।
কোন মন্তব্য নেই