SSC Chemistry Chapter 5: রাসানিক বন্ধন (সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-উত্তর)
অধ্যায়-৫: রাসানিক বন্ধন (সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-উত্তর)
যোজ্যতা ইলেকট্রন (Valence Electrons) কী?
উত্তরঃ কোনো মৌলের
ইলেকট্রন বিন্যাসে সর্বশেষ কক্ষপথে যে ইলেকট্রন বা ইলেকট্রনসমূহ থাকে তার সংখ্যাকে
যোজ্যতা ইলেকট্রন বলে।
যোজ্যতা স্তর (Valence Shells) কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো মৌলের
সর্বশেষ কক্ষপথকে যোজ্যতা স্তর বলে।
যোজনী বা যোজ্যতা (Valency)
কাকে বলে?
উত্তরঃ অণু
গঠনকালে কোনো মৌলের একটি পরমাণুর সাথে অপর একটি মৌলের পরমাণু যুক্ত হওয়ার ক্ষমতাকে
যোজনী বা যোজ্যতা বলা হয়।
পরিবর্তনশীল যোজনী (Variable
Valency) কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো মৌলের একাধিক যোজনী থাকলে সেই মৌলের
যোজনীকে পরিবর্তনশীল যোজনী বলে। যেমন-Fe
এর পরিবর্তনশীল যোজনী 2 এবং 3 ।
সক্রিয় যোজনী (Active
Valency) কী?
উত্তরঃ অণু গঠনকালে কোনো মৌলের যে যোজনী প্রয়োগ /
ব্যবহৃত হয় তাই হলো ঐ মৌলের সক্রিয় যোজনী ।
সুপ্ত যোজনী (Latent Valency) কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো মৌলের সর্বোচ্চ যোজনী এবং সক্রিয় যোজনীর
পার্থক্যকে ঐ মৌলের সুপ্ত যোজনী বলে।
যৌগমূলক (Radicals) কাকে বলে?
উত্তরঃ একাধিক মৌলের কতিপয় পরমাণু বা আয়ন পরস্পরের সাথে
মিলিত হয়ে ধনআত্মক বা ঋণাত্মক আধানবিশিষ্ট একটি পরমাণুগুচ্ছ তৈরি করে এবং এটি একটি
আয়নের ন্যায় আচরণ করে । এ ধরণের
পরমাণুগুচ্ছকে যৌগমূলক বলা হয়।
অথবা, একাধিক মৌলের একাধিক পরমাণুর সমন্বয়ে গঠিত ধনাত্মক বা
ঋণাত্মক আধানবিশিষ্ট পরমাণুগুচ্ছ যা একটি আয়নের ন্যায় আচরণ করে, এ ধরণের পরমাণুগুচ্ছকে যৌগমূলক বলে।
আনবিক বা রাসায়নিক সংকেত (Molecular or Chemical Formula) কী?
উত্তরঃ কোনো মৌল বা যৌগের অণুতে যে যে মৌলের থাকে এবং
যতটি পরমাণু থাকে তাদেরকে প্রতীক ও সংখ্যার মাধ্যমে প্রকাশিত সংকেতকে আনবিক সংকেত
বা রাসায়নিক সংকেত বলে।
গাঠনিক সংকেত (Structural Formula) কী?
উত্তরঃ একটি অণুতে পরমাণুগুলো যেভাবে সাজানো থাকে তা প্রতীক
ও বন্ধনের মাধ্যমে প্রকাশ করাকে গাঠনিক সংকেত বলে।
রাসায়নিক বন্ধন (Chemical Bonds) কী?
উত্তরঃ একই মৌলের বা ভিন্ন মৌলের দু’টি পরমাণু যখন
কাছাকাছি অবস্থান করে তখন তারা সর্বশেষ শক্তিস্তরে ইলেকট্রন গ্রহণ, বর্জন বা
ভাগাভাগির মাধ্যমে নিষ্ক্রিয় গ্যাসের ইলেকট্রন বিন্যাস অর্জন করলে তাদের মধ্যে এক
ধরণের আকর্ষণ বল কাজ করে । এ আকর্ষণ বলই হলো রাসায়নিক বন্ধন।
ক্যাটায়ন (Cations) কী?
উত্তরঃ পরমাণুর বাইরের শক্তিস্তর থেকে এক বা একাধিক
ইলেকট্রন সরিয়ে নিলে ধনাত্মক আধানবিশিষ্ট যে আয়ন উৎপন্ন হয় তাকে ক্যাটায়ন বলে।
অথবা,ধনাত্মক আধানবিশিষ্ট আয়নকে ক্যাটায়ন বলে।
অ্যানায়ন (Anions) কী?
উত্তরঃ পরমাণু এক বা একাধিক ইলেকট্রন গ্রহণ করে ঋণাত্মক
আধানবিশিষ্ট যে আয়ন উৎপন্ন হয় তাকে অ্যানায়ন বলে।
অথবা,ঋণাত্মক আধানবিশিষ্ট আয়নকে অ্যানায়ন বলে।
আয়নিক বা তড়িৎযোজী বন্ধন (Ionic or Electrovalent Bonds) কাকে বলে?
উত্তরঃ অণু গঠনের সময় দু’টি পরমাণুর বহিস্তরে এক বা
একাধিক ইলেকট্রন আদান-প্রদানের মাধ্যমে
অষ্টক পূর্ণতা লাভ করে এবং ক্যাটায়ন ও অ্যানায়ন সৃষ্টি হয়। উৎপন্ন ক্যাটায়ন ও
অ্যানায়নের মধ্যে এক প্রকার স্থির বৈদ্যুতিক আকর্ষণ বল (Electrostatic Force) কাজ করে। এই আকর্ষণ বলকে আয়নিক বন্ধন বা তড়িৎযোজী
বন্ধন বলে।
অথবা, যে আকর্ষণের ফলে ক্যাটায়ন ও অ্যানায়ন পরস্পরের সাথে যুক্ত
থাকে সেটিই আয়নিক বা তড়িৎযোজী বন্ধন।
সমযোজী বন্ধন (Covalent Bonds) কাকে বলে?
উত্তরঃ অণু গঠনের সময় দু’টি অধাতব পরমাণুর বহিস্তরের (এক
বা একাধিক) একটি করে ইলেকট্রন সরবরাহের মাধ্যমে এক জোড়া ইলেকট্রন গঠন করে । এই
ইলেকট্রন জোড় উভয় পরমাণু শেয়ারের মাধ্যমে যে বন্ধন গঠন করে তাকে সমযোজী বন্ধন
বলে।
অথবা, দু’টি অধাতব পরমাণু ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে যে
বন্ধন গঠন করে তাই হলো সমযোজী বন্ধন।
অথবা, সর্বশেষ শক্তিস্তরে স্থায়ী ইলেকট্রন বিন্যাস লাভের
জন্য ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে যে বন্ধন গঠিত হয়, তাকে সমযোজী বন্ধন বলে।
দুই এর (Duplet or Duet) নিয়ম কী?
উত্তরঃ অণু গঠণকালে কোনো মৌল ইলেকট্রন গ্রহণ, বর্জন
অথবা শেয়ারের মাধ্যমে তার সর্বশেষ শক্তিস্তরে 2টি ইলেকট্রনের বিন্যাস অর্থাৎ নিষ্ক্রিয় গ্যাস হিলিয়ামের
ইলেকট্রন বিন্যাস লাভ করলে তাকে দুই এর নিয়ম বলে।
অষ্টক (Octet) নিয়ম কী?
উত্তরঃ অণু গঠণকালে কোনো মৌল ইলেকট্রন গ্রহণ, বর্জন
অথবা শেয়ারের মাধ্যমে তার সর্বশেষ শক্তিস্তরে 8টি ইলেকট্রনের বিন্যাস তথা নিষ্ক্রিয় গ্যাসের ইলেকট্রন
বিন্যাস লাভ করলে তাকে অষ্টক নিয়ম বলে।
ধাতব বন্ধন (Metallic Bonds) কী?
উত্তরঃ দু’টি ধাতব পরমাণু কাছাকাছি এলে তাদের মধ্যে যে বন্ধন গঠিত হয় তাই
ধাতব বন্ধন।
অথবা, এক খন্ড ধাতুর মধ্যে পরমাণুসমূহ যে আকর্ষণের মাধ্যমে
যুক্ত থাকে তাকে ধাতব বন্ধন বলে।
পারমাণবিক শাঁস (Atomic Core) কী?
উত্তরঃ ধাতব বন্ধন গঠনের সময় ধাতুর পরমাণুসমূহ
বহিস্তরের এক বা একাধিক ইলেকট্রন ত্যাগ করে যে ধনাত্মক আয়নে পরিণত হয় তাই
পারমাণবিক শাঁস।
সঞ্চরণশীল ইলেকট্রন (Delocalized Electron) কী?
উত্তরঃ ধাতব
পরমাণুর বহিস্তরের ইলেকট্রনগুলো শিথিলভাবে যুক্ত থাকে বলে এরা কোনো একটি পরমাণুর
অধীনে না থেকে মুক্তভাবে ঘোরাফেরা করে। এই ইলেকট্রনগুলোই সঞ্চরণশীল ইলেকট্রন ।
পোলার যৌগ (Polar Compounds) কাকে বলে?
উত্তরঃ সমযোজী যৌগের অণুর অধিক তড়িৎ ঋণাত্মক পরমাণু
বন্ধনে শেয়ারকৃত ইলেকট্রন জোড়কে নিজের দিকে কিছুটা টেনে নিয়ে যায়। ফলে অধিক তড়িৎ
ঋণাত্মক পরমাণুটি আংশিক ঋণাত্মক চার্জ এবং অপর পরমাণু আংশিক ধনাত্মক চার্জ লাভ
করে। এভাবে সমযোজী যৌগের অণুতে দু’টি পোল বা মেরু সৃষ্টি হয়। এরকম ধনাত্মক ও
ঋণাত্মক পোল বা মেরুবিশিষ্ট সমযোজী যৌগকে পোলার যৌগ বলে।
অথবা, আংশিক ধনাত্মক ও ঋণাত্মক আধানবিশিষ্ট সমযোজী যৌগকে পোলার
যৌগ বলে।
কোন মন্তব্য নেই