SSC Chemistry Chapter 4: পর্যায় সারণি (সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-উত্তর)
পর্যায় সারণি (Periodic Table) কী?
উত্তরঃ আবিষ্কৃত
মৌলসমূহের মধ্যে একই গঠন ও ধর্মবিশিষ্ট মৌলসমূহকে একই শ্রেণিভূক্ত করে কয়েকটি
শ্রেণিতে ও ক্রম বর্ধমান ধর্মানুসারে কয়েকটি সারিতে ভাগ করে একটি সারণি তৈরি করা
হয় । এই সারণিই হলো পর্যায় সারণি ।
মেন্ডেলিফের পর্যায় সূত্রটি (Mendeleev’s Periodic Law)
লিখ?
উত্তরঃ “মৌলসমূহের
ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মাবলি মৌলসমূহের পারমাণবিক ভর বৃদ্ধির সাথে পর্যায়ক্রমে আবর্তিত
হয়।”
মেন্ডেলিফের সংশোধিত পর্যায় সূত্র বা আধুনিক
পর্যায় সূত্রটি (Modern Periodic Law) লিখ?
উত্তরঃ “মৌলসমূহের
ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মাবলি মৌলসমূহের পারমাণবিক সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে পর্যায়ক্রমে
আবর্তিত হয়।”
নিউল্যান্ডের অষ্টক সূত্রটি (Newlands’ Law of Octaves) লিখ।
উত্তরঃ
মৌলসমূহকে তাদের পারমাণবিক ভর অনুসারে ছোট থেকে বড় অনুযায়ী সাজালে যেকোনো একটি
মৌলের ধর্ম তার অষ্টম মৌলের ধর্মের সাথে মিলে যায়। এটি পর্যায় সারণির নিউল্যান্ডের
অষ্টক সুত্র নামে পরিচিত।
অথবা, মৌলসমূহকে তাদের পারমাণবিক ভর অনুসারে ছোট থেকে বড়
অনুযায়ী সাজালে প্রতি অষ্টম মৌলের ধর্মের মিল দেখা যায়, যা পর্যায় সারণির অষ্টক
সুত্র নামে পরিচিত।
ডোবেরাইনার এর ত্রয়ী সূত্রটি (Doberiner’s Law of Traids)
কী?
উত্তরঃ বিজ্ঞানী
ডোবেরাইনার পারমাণবিক ভর অনুসারে তিনটি করে মৌলকে নিয়ে শ্রেণিবদ্ধ করে লক্ষ করেন
যে, এরা একই ধর্ম প্রদর্শন করে এবং দ্বিতীয় মৌলটির পারমাণবিক ভর ১ম ও ৩য় মৌলের পারমাণবিক
ভরের যোগফলের অর্ধেক বা তার কাছাকাছি। তাঁর নামানুসারে এটিই ডোবেরাইনারের ত্রয়ী সুত্র
নামে পরিচিত।
অথবা, জার্মান বিজ্ঞানী ডোবেরাইনার পারমাণবিক ভরের
ক্রমানুসারে তিনটি করে মৌলকে নিয়ে শ্রেণিবদ্ধ করে দেখেন যে, মাঝের মৌলটির
পারমাণবিক ভর ১ম ও ৩য় মৌলের পারমাণবিক ভরের গড় মানের সমান বা কাছাকাছি। এটিই
ডোবেরাইনারের ত্রয়ী সুত্র।
ডোবেরাইনার কোন মৌলগুলোকে প্রথম ত্রয়ী মৌল
হিসেবে চিহ্নিত করেন?
উত্তরঃ বিজ্ঞানী
ডোবেরাইনার ক্লোরিণ, ব্রোমিন ও আয়োডিনকে প্রথম ত্রয়ী মৌল হিসেবে চিহ্নিত
করেন।
ধাতুর আধুনিক সংজ্ঞা দাও।
উত্তরঃ
আধুনিক সংজ্ঞা অনুযায়ী যে সকল মৌল এক বা একাধিক ইলেকট্রন ত্যাগ করে ধনাত্মক আয়নে
পরিণত হয় তাদেরকে ধাতু বলে।
আধুনিক সংজ্ঞানুসারে
অধাতু কাকে বলে?
উত্তরঃ
আধুনিক সংজ্ঞানুযায়ী যে সকল মৌল এক বা একাধিক ইলেকট্রন গ্রহণ করে ঋণাত্মক আয়নে
পরিণত হয় তাদেরকে অধাতু বলে।
মৌলের পর্যায়বৃত্ত ধর্ম বা পর্যায়বৃত্ততা (Periodicity) কী?
উত্তরঃ
পর্যায় সারণিতে পারমাণবিক সংখ্যা অনুসারে মৌলসমূহকে সাজালে নির্দিষ্ট পর্যায় অন্তর
তাদের অনুরূপ ধর্মের পুনরাবৃত্তি ঘটে। মৌলসমূহের ধর্মের এ জাতীয় পুনরাবৃত্তি হলো
পর্যায়বৃত্ত ধর্ম বা পর্যায়বৃত্ততা বা পিরিয়ডিসিটি।
অর্ধধাতু (Submetal) বা অপধাতু কাকে বলে?
উত্তরঃ
যে সকল মৌল কোনো কোনো সময় ধাতুর মতো আচরণ করে এবং কোনো কোনো সময় অধাতুর ন্যায় আচরণ
করে তাদেরকে অর্ধধাতু বা অপধাতু বলে।
অথবা, আধুনিক সংজ্ঞা অনুযায়ী, যে
সকল মৌল কোনো কোনো সময় ইলেকট্রন ত্যাগ করে এবং কোনো কোনো সময় ইলেকট্রন গ্রহণ করে
তাদেরকে অর্ধধাতু বা অপধাতু বলে। যেমন- সিলিকন (Si) একটি অপধাতু।
পারমাণবিক ব্যাসার্ধ (Atomic Radius) কী?
উত্তরঃ
কোনো পরমাণুর নিউক্লিয়াস থেকে সর্ববহিস্থ শক্তিস্তরের দূরত্বই হলো পারমাণবিক
ব্যাসার্ধ।
আয়নিকরণ শক্তি (Ionization Energy)
কাকে বলে?
উত্তরঃ
গ্যাসীয় অবস্থায় কোনো মৌলের এক মোল গ্যাসীয় পরমাণু থেকে এক মোল ইলেকট্রন অপসারণ
করে এক মোল ধনাত্মক আয়নে পরিণত করতে যে পরিমান শক্তির প্রয়োজন হয়, তাকে ঐ মৌলের
আয়নিকরণ শক্তি বলে।
ইলেকট্রন আসক্তি (Electron Affinity)
কাকে বলে?
উত্তরঃ
গ্যাসীয় অবস্থায় কোনো মৌলের এক মোল গ্যাসীয় পরমাণুতে এক মোল ইলেকট্রন প্রবেশ করিয়ে
এক মোল ঋণাত্মক আয়নে পরিণত করলে যে পরিমান শক্তির নির্গত হয়, তাকে ঐ মৌলের
ইলেকট্রন আসক্তি বলে।
তড়িৎ ঋণাত্মকতা (Electronegativity)
কী?
উত্তরঃ
দু’টি পরমাণু যখন সমযোজী বন্ধনে অণু গঠন করে তখন অণুর পরমাণুগুলো বন্ধন ইলেকট্রন
জোড়কে নিজের দিকে আকর্ষণ করে। এই আকর্ষণই মৌলের তড়িৎ ঋণাত্মকতা।
অথবা, কোনো অণুতে উপস্থিত দু’টি পরমাণুর মধ্যে শেয়ারকৃত ইলেকট্রন
যুগলকে একটি পরমাণুর নিজের দিকে আকর্ষণ করার ক্ষমতাকে ঐ মৌলের তিড়িৎ ঋণাত্মকতা বলে।
ক্ষার ধাতু (Alkali Metals) কাকে বলে?
উত্তরঃ
পর্যায় সারণির 1 নং গ্রুপের হাইড্রোজেন ব্যতীত বাকী
6টি মৌলকে (লিথিয়াম, সোডিয়াম,পটাসিয়াম,
রুবিডিয়াম ও ফ্রানসিয়াম) ক্ষার ধাতু বলে।
মৃৎক্ষার ধাতু (Alkaline Earth Metals) কাকে বলে?
উত্তরঃ
পর্যায় সারণির 2 নং গ্রুপের বেরিলিয়াম,
ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, স্ট্রনসিয়াম, বেরিয়াম এবং রেডিয়াম এই 6টি মৌলকে মৃক্ষার ধাতু বলে।
এই ধাতুগুলোকে মাটিতে বিভিন্ন যৌগ হিসেবে পাওয়া যায় বলে এদের
মৃক্ষার ধাতু বলা হয়।
হ্যালোজেন (Halogens) কাকে বলে?
উত্তরঃ
পর্যায় সারণির 17 নং গ্রুপের ফ্লোরিন, ক্লোরিন,
ব্রোমিন, আয়োডিন, অ্যাস্টাটিন এবং টেনেসিন এই 6টি মৌলকে হ্যালোজেন বলে।
হ্যালোজেন শব্দের অর্থ কী?
উত্তরঃ
হ্যালোজেন শব্দের অর্থ লবণ উৎপাদনকারী এবং এর মূল উৎস সামুদ্রিক লবণ। পর্যায়
সারণির 17 নং গ্রুপের ফ্লোরিন, ক্লোরিন,
ব্রোমিন, আয়োডিন, অ্যাস্টাটিন এবং টেনেসিন এই 6টি মৌল হলো হ্যালোজেন।
নিষ্ক্রিয় গ্যাস (Inert Gases)
কাকে বলে?
উত্তরঃ
পর্যায় সারণির 18 নং গ্রুপের মৌলসমূহকে (হিলিয়াম,
নিয়ন,আর্গন, ক্রিপটন, জেনন ও ওগানেসন) নিষ্ক্রিয় গ্যাস বলে।
মুদ্রা ধাতু (Coin Metals)
কাকে বলে?
উত্তরঃ পর্যায়
সারণির গ্রুপ –11 এর মৌলসমূহের মধ্যে ধাতব
বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন (উজ্জ্বলতা) অবস্থান্তর মৌল যেমন- তামা (Cu), রুপা (Ag) ও
স্বর্ণকে (Au) মুদ্রা ধাতু বলে।
অবস্থান্তর মৌল (Transition Elements) কাকে বলে?
উত্তরঃ যেসব
মৌলের স্থিতিশীল আয়নের ইলেকট্রন বিন্যাসে d অরবিটাল
আংশিকভাবে পূর্ণ (d1-9) থাকে তাদেরকে অবস্থান্তর
মৌল ধাতু বলে।
পর্যায় সারণিতে Ni এর অবস্থান কোন
পর্যায়ে?
উত্তরঃ পর্যায়
সারণিতে Ni এর অবস্থান ৪র্থ পর্যায়ে।
কোন মন্তব্য নেই