Header Ads

Header ADS

HSC Chemistry (1st) Chapter 4: রাসায়নিক পরিবর্তন (জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর)

  অধ্যায়-৪:রাসায়নিক পরিবর্তন

 গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

লেসন-১:রাসায়নিক বিক্রিয়া,বিক্রিয়ার বেগ ও প্রভাবন

১.১। গ্রিন কেমিস্ট্রি কী?

সবুজ রসায়ন হলো রসায়নের এমন একটি শাখা যেখানে রাসায়নিক বিক্রিয়ার ডিজাইন,পদ্ধতির উন্নয়ন,ক্ষতিকর কাচামালের ব্যবহার পরিহার,শিল্পজ উপজাত দ্রব্যের রিসাইক্লিং,পরিবেশ দূষণ হ্রাসকরণসহ ইত্যাদি বিষয়ের গবেষণা করা ও গবেষণা লব্ধ ফলাফল অনুসারে পরিবেশ বান্ধব শিল্পজ উৎপাদনের ধারণা প্রদান করা হয়।

অর্থাৎ শিল্পের উৎপাদন প্রক্রিয়ার শুরু থেকে ব্যবহার পর্যন্ত সামগ্রিক প্রক্রিয়াকে পরিবেশ বান্ধব করাই হলো সবুজ রসায়ন।   

১.২। এটম ইকনমি কী?

কোনো বিক্রিয়ায় কাঙ্ক্ষিত উৎপাদের মোট আনবিক ভর এবং বিক্রিয়কসমূহের আনবিক ভরের সমষ্টির শতকরা পরিমানই ঐ উৎপাদের জন্য এটম ইকনমি।

১.৩। বিক্রিয়ার হার বা বেগ কাকে বলে?

কোনো বিক্রিয়ায় একক সময়ে বিক্রিয়কের ঘনমাত্রা হ্রাস বা উৎপাদের ঘনমাত্রা বৃদ্ধিকে বিক্রিয়ার হার বা বেগ বলে।

১.৪। সক্রিয়ন শক্তি কাকে বলে?

ন্যূনতম যে শক্তি অর্জন করলে বিক্রিয়ক অণুসমূহ উৎপাদে পরিণত হতে পারে সেই শক্তিকে ঐ বিক্রিয়কের সক্রিয়ন শক্তি বলে।

১.৫। বিক্রিয়ার অর্ধায়ু কাকে বলে?

কোন বিক্রিয়ার অর্ধেক বিক্রিয়ক উৎপাদে পরিণত হতে যে সময় লাগে তাকে ঐ বিক্রিয়ার অর্ধায়ু বলে।১.৬। ঋণাত্মক প্রভাবক কাকে বলে?

যে প্রভাবক রাসায়নিক বিক্রিয়ার বেগ হ্রাস করে তাকে ঋণাত্মক প্রভাবক বলে।

১.৭। আবিষ্ট প্রভাবক কাকে বলে?

একটি বিক্রিয়ক অপর একটি বিক্রিয়কের ক্রিয়াকে প্রভাবিত করলে প্রথম বিক্রিয়টিকে দ্বিতীয় বিক্রিয়কের জন্য আবিষ্ট প্রভাবক বলে। 

১.৮। অসমস্বত্ব প্রভাবন কাকে বলে?

যদি প্রভাবক ও বিক্রিয়ক ভিন্ন ভিন্ন দশায় থাকে তবে তাকে অসমসত্ব প্রভাবক এবং প্রকৃয়াকে অসমসত্ব প্রভাবন বলে। 

১.৯। প্রভাবক বিষ কাকে বলে?

যে পদার্থ প্রভাবকের প্রভাবন ক্ষমতা হ্রাস বা নষ্ট করে তাকে প্রভাবক বিষ বলে।

১.১০। এনজাইম কী?

এনজাইম হল ঈস্ট থেকে নিঃসৃত প্রাণহীন অদানাদার নাইট্রোজেনযুক্ত জটিল কাঠামো বিশিষ্ট জৈব পদার্থ।

লেসন-২: রাসায়নিক সাম্যাবস্থা

২.১। রাসায়নিক সাম্যাবস্থা কী? 

যে অবস্থায় কোনো একটি বিক্রিয়ার সম্মুখ বিক্রিয়ার হার এবং পশ্চাদ বিক্রিয়ার হার সমান হয় তাকে ঐ বিক্রিয়ার সাম্যাবস্থা বা রাসায়নিক সাম্যাবস্থা বলে।    

২.২। ভরক্রিয়া সূত্র লিখ।

নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় যে কোন বিক্রিয়ার বেগ বা হার বিক্রিয়ায় উপস্থিত বিক্রিয়কগুলোর সক্রিয় ভরের (মোলার ঘনমাত্রা বা আংশিক চাপের) সমানুপাতিক।

২.৩। সাম্যাংক কী?

নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় কোন বিক্রিয়ার সাম্যাবস্থায় উৎপাদসমূহের মোলার ঘনমাত্রার গুণফল ও বিক্রিয়কসমূহের মোলার ঘনমাত্রার গুণফলের অনুপাত একটি ধ্রুবক রাশি।এ ধ্রুবক রাশিই হল রাসায়নিক সাম্যাংক বা সাম্যধ্রুবক। 

২.৪। অসমস্বত্ব সাম্যাবস্থা কাকে বলে?

যে সাম্যাবস্থায় বিক্রিয়ক ও উৎপন্ন দ্রব্যের ভৌত অবস্থা ভিন্ন ভিন্ন হয় তাকে অসমস্বত্ব সাম্যাবস্থা বলে।

২.৫। লা-শাতেলিয়ার নীতি কী?

কোন বিক্রিয়ার সাম্যাবস্থায় যদি কোন নিয়ামক ( তাপ, চাপ, ঘনমাত্রা ইত্যাদি) পরিবর্তন করা হয়, তবে সাম্যের অবস্থান এমনভাবে পরিবর্তিত হয় যেন নিয়ামক পরিবর্তনের ফলাফল প্রশমিত হয়।

লেসন-৩: পানির আয়নিকরণ, pH এবং বাফার দ্রবণ

৩.১। পানির আয়নিক গুণফল কী?

বিশুদ্ধ পানির মধ্যে উপস্থিত হাইড্রোজেন আয়ন ও হাইড্রক্সিল আয়নের মোলার ঘনমাত্রার গুণফল হলো পানির আয়নিক গুণফল।

অর্থাৎ পানির আয়নিক গুণফল, Kw = [H+] [OH-]

৩.২। বিয়োজন মাত্রা কী?

কোন উপাদানের মোট মোল সংখ্যার যত অংশ বিয়োজিত হয় তাকে ঐ উপাদানের বিয়োজনমাত্রা বলে।৩.৩। pH কী?

কোন দ্রবণে হাইড্রোজেন আয়নের (H+) মোলার ঘনমাত্রার ঋণাত্মক লগারিদলকে ঐ দ্রবণের  বলে।  

অর্থাৎ  pH  = - log [ H+] 

৩.৪। বাফার দ্রবণ কাকে বলে?

যে দ্রবণে সামান্য পরিমাণ এসিড বা ক্ষার যোগ করা হলেও ঐ দ্রবণের    অপরিবর্তিত থাকে তাকে বাফার দ্রবণ বলে।

৩.৫। বাফার ক্রিয়া কী?

যে রাসায়নিক ক্রিয়া কৌশলের মাধ্যমে একটি বাফার দ্রবণ  এর পরিবর্তনকে রোধ করে তাকে বাফার ক্রিয়া বলে।

লেসন-৪: তাপ রসায়ন

৪.১। বিক্রিয়া তাপ কাকে বলে?

কোন বিক্রিয়ায় যে পরিমাণ তাপশক্তি পরিবর্তন (শোষিত ব নির্গত) হয় তাকে বিক্রিয়া তাপ বলে।

অথবা,

সংখ্যানুপাতিক সমীকরণ অনুযায়ী নির্ধারিত সংখ্যক মোল সংখ্যা বিশিষ্ট বিক্রিয়কসমূহের মধ্যে বিক্রিয়ার ফলে স্থির চাপে যে পরিমান তাপ শোষিত বা নির্গত হয় তাকে ঐ বিক্রিয়ার বিক্রিয়া তাপ বলে।  

৪.২। তাপোৎপাদী বিক্রিয়া ও তাপহারী বিক্রিয়া কাকে বলে?

যে বিক্রিয়ায় তাপ উৎপন্ন হয় তাকে তাপোৎপাদী বিক্রিয়া বলে এবং যে বিক্রিয়ায় তাপ শোষিত হয় তাকে তাপহারী বিক্রিয়া বলে।  

৪.৩। তাপ রাসায়নিক সমীকরণ কী?

যে রাসায়নিক বিক্রিয়ার সমতাকৃত সমীকরণে বিক্রিয়ক ও উৎপাদের ভৌত অবস্থা এবং তাপশক্তির পরিবর্তন উল্লেখ থাকে তা-ই হলো তাপ রাসায়নিক সমীকরণ।     

৪.৪। প্রমাণ বিক্রিয়া তাপ কাকে বলে?

প্রমাণ অবস্থায় (25C বা 298 K তাপমাত্রা ও 1 atm চাপ) কোন বিক্রিয়ায় যে পরিমাণ তাপশক্তির পরিবর্তন (শোষিত বা নির্গত) হয় তাকে বিক্রিয়া প্রমাণ তাপ বলে।

৪.৫। সংগঠন বা গঠন তাপ/ সংগঠন বা গঠন এনথালপি কী?

কোন বিক্রিয়ায় 1 mol পরিমাণ কোন পদার্থকে এর উপাদান মৌল (বা মৌলিক উপাদান) থেকে তৈরি করতে যে পরিমান তাপশক্তির (এনথালপির)পরিবর্তন হয় তা-ই হলো সংগঠন বা গঠন তাপ (এনথালপি)।

৪.৬। দহন তাপ/ দহন এনথালপি কী?

কোন বিক্রিয়ায় 1 mol পরিমাণ কোন পদার্থকে সম্পূর্ণরূপে অক্সিজেন দ্বারা দহন করলে যে পরিমান তাপশক্তির (এনথালপির) পরিবর্তন হয় তা হলো দহন তাপ বা দহন এনথালপি।

৪.৭। হেসের তাপ সমষ্টিকরণ সূত্র কী?

কোন বিক্রিয়ায় বিক্রিয়ক ও উৎপাদ যদি স্থির থাকে তবে বিক্রিয়াটি এক ধাপে ঘটুক বা একাধিক ধাপে ঘটুক না কেন, প্রতিক্ষেত্রেই তাপ শক্তির পরিবর্তন সমান হবে

৪.৮। দ্রবণ তাপ কাকে বলে?

1 mol পরিমাণ দ্রবকে যথেষ্ট পরিমাণ (যে অবস্থায় আরো দ্রাবক যোগ করলেও তাপমাত্রার আর পরিবর্তন হয় না) দ্রাবকে দ্রবিভূত করা হলে যে পরিমাণ তাপের পরিবর্তন হয় তাকে ঐ দ্রবের দ্রবণ তাপ বলে।  

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.