SSC 2021Assignment (6th week) Chemistry (Chapter 3 & 5) And Answer
(ক)
অণু গঠনকালে কোনো মৌলের
একটি পরমাণুর সাথে অপর একটি মৌলের পরমাণু যুক্ত হওয়ার ক্ষমতাকে ঐ মৌলের যোজনী বা
যোজ্যতা বলে। ।
সাধারণত হাইড্রোজেনের
যোজনী এক (1)কে আদর্শ হিসেবে ধরে অন্য মৌলের যোজনী নির্ণয় করা হয়।
কোনো মৌলের একটি পরমণু
যতগুলো ঐ পরমাণু বা H পরমাণু বা Cl পরমাণুর যুক্ত হতে পারে সেই সংখ্যাই ঐ মৌলের যোজনী বা যোজ্যতা নির্দেশ
করে।
যেমন –হাইড্রোজেনের
একটি পরমাণু ক্লোরিনের একটি পরমাণুর সাথে যুক্ত হয়ে HCl গঠিত
হয়, তাই ক্লোরিনের যোজনী 1(এক)।আবার অক্সিজেনের একটি
পরমাণু হাইড্রোজেনের দুইটি পরমাণুর সাথে
যুক্ত হয়ে H2O তৈরি করে, এজন্য অক্সিজেনের যোজনী 2 (দুই)।
কোনো মৌলের একটি
পরমাণুর সাথে যতটি অক্সিজেন পরমাণু যুক্ত হয় সেই সংখ্যার দ্বিগুণ করলে ঐ মৌলের
যোজনী বা যোজ্যতা পাওয়া যায়।
CO2 কার্বনের একটি পরমাণু অক্সিজেনের দুইটি পরমাণু সাথে যুক্ত হয়,
এজন্য অক্সিজেন পরমাণুর সংখ্যা 2
কে 2 দ্বারা গুণ করলে 4
হয়। তাই CO2 এ C এর যোজনী 4।
CCl4 এ C এর একটি পরমাণু ক্লোরিনের 4টি পরমাণু সাথে যুক্ত
হয়,এ জন্য CCl4 এ C এর যোজনী 4।
PCl5 এ P এর একটি পরমাণু ক্লোরিনের 5টি পরমাণু সাথে যুক্ত
হয়, এ জন্য PCl5 এ P
এর যোজনী 5।
PCl3 এ P এর একটি পরমাণু ক্লোরিনের 3টি পরমাণু সাথে যুক্ত
হয়, এ জন্য PCl3 এ P
এর যোজনী 3।
PI5 এ P এর একটি পরমাণু আয়োডিনের 5টি পরমাণু সাথে যুক্ত
হয়, তাই PI5 এ P
এর যোজনী 5।
SO2 এ S এর একটি পরমাণু অক্সিজেনের 2টি পরমাণু সাথে যুক্ত
হয়, এক্ষেত্রে S এর যোজনী 2 হলে অক্সিজেনের যোজনী হয় 1, যা অসম্ভব। সে কারণে
উভয় পরমাণুকে 2 দ্বারা গুণ করলে পাওয়া যায় -2টি সালফার পরমাণু 4টি
অক্সিজেন পরমাণুর সাথে যুক্ত হয়, তাই SO2 এ S
এর যোজনী 4 ।
SO3 এ S এর একটি পরমাণু অক্সিজেনের 3টি পরমাণু সাথে যুক্ত
হয়, এক্ষেত্রে S এর যোজনী 3 হলে অক্সিজেনের যোজনী হয় 1, যা অসম্ভব। সে কারণে
উভয় পরমাণুকে 2 দ্বারা গুণ করলে পাওয়া যায়-2টি সালফার পরমাণু 6টি
অক্সিজেন পরমাণুর সাথে যুক্ত হয়, তাই SO3 এ S
এর যোজনী 6 ।
(খ)
কোনো মৌলের একাধিক
যোজনী থাকলে সেই মৌলের যোজনীকে পরিবর্তনশীল যোজনী বলে।
কোনো মৌলের সর্বোচ্চ
যোজনী এবং সক্রিয় যোজনীর পার্থক্যকে ঐ মৌলের সুপ্ত যোজনী বলে।
H2O এর মধ্যে বিদ্যমান হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন উভয় মৌলই পরিবর্তনশীল যোজনী প্রদর্শন করে না। তাই পানির অণুতে
হাইড্রোজেন বা অক্সিজেনের সুপ্ত যোজনী 0 ।
CO2 এ কার্বনের সক্রিয় যোজনী 4 এবং কার্বনের সর্বোচ্চ
যোজনীও 4 ।
সুতরাং CO2 এ কার্বনের সুপ্ত যোজনী = সর্বোচ্চ যোজনী – সক্রিয় যোজনী
= 4 – 4
= 0
CCl4 এ কার্বনের সক্রিয় যোজনী 4 এবং সর্বোচ্চ যোজনীও 4 ।
সুতরাং C Cl4 এ কার্বনের সুপ্ত যোজনী = সর্বোচ্চ যোজনী – সক্রিয় যোজনী
= 4 – 4
= 0
PCl5 এ ফসফরাসের সক্রিয় যোজনী 5 এবং সর্বোচ্চ যোজনীও 5 ।
সুতরাং PCl5 এ P এর সুপ্ত যোজনী = সর্বোচ্চ যোজনী – সক্রিয় যোজনী
= 5 – 5
= 0
PCl3 এ P এর সক্রিয় যোজনী 3
এবং সর্বোচ্চ যোজনী 4 ।
সুতরাং PCl3 এ P এর সুপ্ত যোজনী = সর্বোচ্চ যোজনী – সক্রিয় যোজনী
= 4 – 3
= 1
PI5 এ P এর সক্রিয় যোজনী 5
এবং সর্বোচ্চ যোজনী 5 ।
সুতরাং PI5 এ P এর সুপ্ত যোজনী = সর্বোচ্চ যোজনী – সক্রিয় যোজনী
= 5 – 4
= 0
SO2 এ S এর সক্রিয় যোজনী 4 এবং সর্বোচ্চ যোজনী 6 ।
সুতরাং SO2 এ S এর সুপ্ত যোজনী = সর্বোচ্চ যোজনী – সক্রিয় যোজনী
= 6 – 4
= 2
SO3 এ S এর সক্রিয় যোজনী 6 এবং সর্বোচ্চ যোজনী 6 ।
সুতরাং SO3 এ S এর সুপ্ত যোজনী = সর্বোচ্চ যোজনী – সক্রিয় যোজনী
= 6 – 6
= 0
(গ)
যে সব আইসোটপের নিউক্লিয়াস
স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভেঙ্গে অলফা, বিটা, গামা রশ্মি ইত্যাদি নির্গত করে তাদেরকে তেজস্ক্রিয়
আইসোটোপ বলে। এখন পর্যন্ত ৩০০০ এর বেশি আইসোটোপ সম্বন্ধে জানা গেছে। বর্তমানে
তেজস্ক্রিয় আইসোটোপের ব্যবহার চিকিৎসাক্ষেত্রে, কৃষিক্ষেত্রে, খাদ্য ও বীজ সংরক্ষণে,
বিদ্যুৎ উৎপাদনে,কোনো কিছুর বয়স নির্ণয়সহ অন্যান্যক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন
ঘটেছে।
C-14: আবিষ্কৃত জীবাশ্মের কার্বন (C -14) এর তেজস্ক্রিয়তা
নির্ণয় করে তা থেকে জীবাশ্মের বয়স তথা পৃথিবীর আনুমানিক বয়স নির্ণয় করা যায়।
তেজস্ক্রিয় ফসফরাস (P-32)
এবং কার্বন (C -14) ব্যবহার করে RNA ও DNA এর গঠনের হার পর্যালোচনা করে মানুষের জীবন রহস্য সম্পর্কে অনেক
তথ্য উদঘাটনে সক্ষম হয়েছে।
P-32: রক্তের
লিউকোমিয়া রোগের চিকিৎসায় P-32 এর ফসফেট ব্যবহার কর হয় ।
Cl-37 তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ সমৃদ্ধ কীটনাশক ব্যবহার করে ফসলের ক্ষতিকর
পোকা মাকড় ধ্বংস করা হয়।
I- 131: আয়োডিন তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ (I- 131) থাইরয়েড গ্রন্থির
কোষ-কলা বৃদ্ধি প্রতিহত করে, অর্থাৎ ক্যানসার নিরাময়ে সহায়তা করে।
হাইড্রোজেন (H-3)
– মানব দেহে পানির পরিমান নির্ণয়ে ব্যবহৃত হয়।
কোন মন্তব্য নেই